সোনালি

ব্যবহৃত

অনিকেত বিনা কারনেই ফোনটা করে।
সারা দিন এই কাজের ব্যস্ততা। উফ।
আজ লাঞ্চ খেতে যাবার সময়টুকু ও ছিল না।
এতক্ষণে একটু নিশ্বাস নিতে পেরেছে অনিকেত।
মিটিং সেই দশটায় শুরু আর এই পৌনে তিন বেজে ছাড়া পাওয়া গেলো।
কি করছে সুমিত এখন কে জানে। নিশ্চয়ই সেও কাজে ব্যস্ত।
সুমিত অফিসের কাছে একটা ভালো খাবার দোকান আবিষ্কার করেছে কিছু দিন হল। সেখানেই খেতে এসেছিল নীলাঞ্জনার সাথে। নীলাঞ্জনা চকচকে এইচ আর এক্সিকিউটিভ।

খাওয়া শেষ হয়েছে বেশ খানিকক্ষণ। কিন্তু আড্ডাটা জমে যাওয়ায় উঠতে ইচ্ছে করছিলো না দু জনের কারোর।

সুমিত ফোন তুলে জুনিয়র পার্টনার রাকেশকে বলল ইমেইলটা একটু চেক কর প্লিজ। কফি খেয়ে আসছি।

নীলাঞ্জনা একটা হাতের ওপর ঘাড় কাত করে দেখছিল সুমিতকে। বন্ধুত্বের মুচমুচে মোড়কটাকে খাসা ।

নীলাঞ্জনা ভাবে শুধু এক অফিসে কাজ করি, এই দিয়ে কি আর একটা মানুষকে চেনা যায়?

ফোনটা বেজে উঠল।

সুমিত চট করে ধরেই বলল, ” কি হয়েছে, পরে কথা বলছি। হ্যাঁ হ্যাঁ, খেয়েছি। হ্যাঁ ? হ্যাঁ, জল খেয়েছি, গ্যাস হয়নি। ছাড়ো এখন। রাতে বাড়ি আসছি। “

নীলাঞ্জনা বলে, ” বাড়ি থেকে? “

” না না, অনিকেত, আমাদের মার্কেটিং করে ছেলেটা।”

ফোনে পুরুষালি গলাই ভেসে আসছিল বটে।

নীলাঞ্জনা ভাবে কথার ধরনটা পুরোনো দম্পতির মত কেন ?
অনিকেত বুকভাঙা কষ্ট নিয়ে ভাবে, ” আমি খেয়েছি কিনা একবার জিগেস ও করল না। যাক তবু রাত্রি বেলা ত আসবে বলেছে। ”

This entry was posted in Uncategorized. Bookmark the permalink.

1 Response to সোনালি

মন্তব্য করুন

Fill in your details below or click an icon to log in:

WordPress.com Logo

You are commenting using your WordPress.com account. Log Out /  পরিবর্তন )

Facebook photo

You are commenting using your Facebook account. Log Out /  পরিবর্তন )

Connecting to %s